দুপুরবেলা Abul Kalam Azad ভাই মেসেঞ্জারে নক দিয়ে জানালেন, গতকাল আমার মেয়ে (ইসলামী বইমেলা) সিলেটের সব স্টল ঘুরে মাত্র এই বইটি পছন্দ করে সংগ্রহ করেছে! গতকাল রাতেই সে তিনটি বই পড়ে শেষ করে ফেলেছে। বইয়ের গল্পগুলো তার নাকি দারুণ ভালো লেগেছে।

আবুল কালাম ভাইয়ের ছবি ও বার্তা আমাকে আনন্দের আতিশয্যে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। এখানে আনন্দিত হওয়ার মতো দুটো কারণ।

এক. আবুল কালাম ভাইয়ের মেয়ে নওশিন জান্নাত নোভা মেলার এত এত বইয়ের ভীড়ে আমার ‘একটি হাদিস একটি গল্প’ বইগুলো পছন্দ করে সংগ্রহ করেছে, এটা তো অবশ্যই আনন্দের। কেননা বইগুলো লেখা হয়েছে শিশুদের জন্য। শিশুরা যখন নিজেরাই এ বই পছন্দ করে সংগ্রহ করার আগ্রহবোধ করছে, তার মানে আমার বইগুলো অন্তত কিছুটা হলেও তাদের আকর্ষণ করতে পারছে।

দুই. আবুল কালাম ভাই বাংলাবাজারকেন্দ্রিক একজন জাঁদরেল প্রকাশক। তিনি প্রকাশক হলেও তার প্রতিষ্ঠান কালান্তর প্রকাশনী থেকে আমার কোনো বই প্রকাশ হয়নি। চলতি ধারণা অনুযায়ী, এক প্রকাশক সাধারণত অন্য প্রকাশনীর বই নিয়ে সাধুবাদ প্রচার করেন না। অন্য প্রকাশনীর লেখকও তাদের কাছে অপাংক্তেয়। কিন্তু আবুল কালাম ভাইয়ের সৌজন্যবোধ এসবের ঊর্ধ্বে। তিনি তার উদারতা দিয়ে প্রথাগত ব্যবসায়িক সংকীর্ণতাকে ছুড়ে ফেলেছেন। এমন মানুষের শুভাশীষ নিঃসন্দেহে আনন্দের।

আরেকজন প্রকাশক খুব আনন্দিত হয়ে আমার শিশুতোষ বইগুলো খরিদ করেন তার ছেলের জন্য। তিনি আহমাদ গালিব ভাই। গালিব ভাই শুধু বইগুলো খরিদই করেন না, তিনি তার ছেলের ফরমায়েশে আমার কাছ থেকে অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য তক্কে তক্কে থাকেন। আমাকে বাংলাবাজার পেলে অমনি ধরে ফেলে ছেলের জন্য অটোগ্রাফ আদায় করে নেন।

একজন লেখক কেবলই রয়্যালিটির অর্থ, জনপ্রিয়তা, অটোগ্রাফ আর ভক্তকূলের হাততালির জন্য লিখেন না। একজন লেখকের আনন্দ খুব সাধারণ এবং খুব সিম্পল। দিনশেষে একজন পাঠক যখন বইয়ের পাতা থেকে আনন্দিত মুখাবয়ব নিয়ে চোখ তুলে তাকায়, আর লেখকের গোচরে বা অগোচরে তাকে জানিয়ে দেয়, আপনার বই আমাকে ভীষণ আন্দোলিত করেছে, এটাই একজন লেখকের সঞ্জিবনী। বাদবাকি সকলই কথার কথা!

বইটি পেতে লিংকে ক্লিক করুন:

https://www.rokomari.com/book/280100/ekti-hadis-ekti-golpo