শাসক বা সরকার কখনো অবৈধ হয় না। কারণ, শাসক হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি নেই যার ভিত্তিতে বলা যাবে যে—এই শাসক অবৈধ বা অমুক সরকারের নৈতিক কোনো ভিত্তি নেই। যেহেতু শাসকের বৈধতার নির্ধারিত কোনো পদ্ধতি নেই, তাই তা অবৈধ হওয়ার প্রশ্নই উঠে না। যেকোনো পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতা অর্জন/দখলের মাধ্যমে যে কেউ শাসক হতে পারে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞার মাধ্যমে শাসকের সংজ্ঞায়ন করা স্রেফ বকওয়াজ। গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা দেখুন, পৃথিবীর কোনো দেশের গণতন্ত্রের সঙ্গে আরেক দেশের গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক শাসন ও শাসকের কোনো সাযুজ্য নেই। সুতরাং সংজ্ঞায়ন কোনো কাজের কাজ না!


২ Comments

S. M AL-AMIN · ২২ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩ at ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ

এই লেখাটা সবচেয়ে বেশি চমৎকার লেগেছে আমার কাছে। এবং এই লেখাটা পড়ার পর থেকে আমার চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।
আগে শাসক নিয়ে বঅনেক কথা বলতাম। যখন এটা পড়লাম, আমার চিন্তার জগৎ আরো প্রসারিত হলো এবং আমি বুঝতে পারলাম, শাসক নিয়ে আমার ধারণাগুলো সঠিক নয়। ধন্যবাদ আপনাকে।

    সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর · ১৫ মার্চ , ২০২৩ at ৮:৪৩ অপরাহ্ণ

    মতামতের জন্য ধন্যবাদ

Comments are closed.