কখনো কারো থেকে কোনো মোটিভেশন নিবেন না। সফল বা বিফল, খরগোশ বা কচ্ছপ—কারো কোনো ঘটনা থেকেই কোনো মোটিভেশন গ্রহণ করবেন না। এইগুলা বকওয়াজ। ইউটিউবের বহুজনের মোটিভেশন স্পিস দেইখা বুকের মধ্যে দাউ দাউ কইরা উত্তেজনা ছড়ায়া পড়ে। খোঁজ নিয়া দেখেন, এদের বৈবাহিক জীবনে ডিভোর্স হয়া গেছে দুই-তিনবার করে। সেইটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার বলতে পারেন আপনে।

কিন্তু যে তুমি মহান মোটিভেশনাল স্পিকার একটা মানুষরে তোমার জীবনের সঙ্গে বাইন্ধা রাখতে পারো না, সেই তুমি হাজার হাজার মানুষরে কেমনে বলো: Yes, you can… Yes, you can…

ব্যাটা পারফেক্ট ভণ্ড!

এই দুনিয়ার প্রতিটি মানুষের জীবন আলাদা, তাদের জীবন-যাপন, জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত, পরিবেশ-প্রতিবেশ, দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ-সুখ আলাদা। প্রত্যেকের চিন্তা করার তরিকা আলাদা, কাজ করার এন্তেজাম আলাদা। প্রতিজনের জীবনের দর্শনই তো আলাদা। তাইলে খরগোশ আর কচ্ছপের ছাঁচে ফালায়া সবাইকে এক ক্যাটাগরির সফল বানাইতে হইবে কেন? উচ্চতর সফলতা কেন এত দরকার?

ফেসবুকে নানা জ্ঞানের কথা, সফল হওয়ার চমকপ্রদ নানা গল্প, ওয়ারেন বাফেট-বিল গেটসের ফেইক বাণী পইড়া কখনো প্রভাবিত হইবেন না। টান টান কইরা নিজের কাজে মন দেন। আপনের কাছে আপনে নিজে সবচে বড় মোটিভেশনাল স্পিকার।

অমুকে আমার জীবন বদলায়া দিছে, অমুকের ওই কথাটা জীবনের মোড় ঘুরায়া দিছে, অমুক বইটা পড়ে তড়াক কইরা দাঁড়ায়া গেলাম—এই ধরনের কেচ্ছা-কাহিনিতে মন দিবেন না। জীবন সিম্পল করেন। জীবনের যে ইটের উপরে দাঁড়ায়া আছেন এই মুহূর্তে, এইটাই আপনের শ্রেষ্ঠ সময়। এই সময়টা উপভোগ করেন।

নো মোর মোটিভেশন…

আমার এই পোস্ট থেকেও কোনো মোটিভেশন নিবেন না। এগুলা আমি এমনেই বলি। আপনে আপনের কাজ চালায়া যান। যা করতেছিলেন তাই করেন। এইখানে আর সময় নষ্ট না করে স্ক্রল কইরা নিচে চইলা যান। দেখেন, নোরা ফাতেহি কবে আসতেছে। মিছিল-টিছিলের প্রস্তুতি নেন…