আজকে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি ফেসবুক পেজে বিস্ময়কর এক তথ্য দেখলাম। রাশিয়ার একদল বিজ্ঞানী সাইবেরিয়ার বরফশীতল অঞ্চলে খুঁড়ে পাওয়া ৩২ হাজার বছরের পুরোনো একটি ফল থেকে চারাগাছ উৎপাদন করেছেন। Silene stenophylla নামে পরিচিত গাছটি মূলত পুষ্পদায়িনী উদ্ভিদ। ধারণা করা হয়, কয়েক হাজার বছর আগে পূর্ববর্তী বরফযুগের সময় কাঠবেড়ালী জাতীয় কোনো প্রাণী এটিকে মাটিতে পুঁতে রেখেছিল।
যা হোক, এই তথ্য সত্যিই অবাক করার মতো এবং বিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে শিক্ষণীয় উপদেশ, যদি তারা তা বুঝতো!
আমাদের মধ্যে একদল গোঁড়া ধার্মিক লোক আছেন যারা বিজ্ঞানের যেকোনো আবিষ্কার বা তত্ত্ব অস্বীকার করেন, কিংবা সেগুলো তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে দূরে ঠেলে ফেলে দেন। ইদানীংকার আকছার ধর্মীয় বক্তাকে দেখবেন, বিজ্ঞানের নতুন কোনো আবিষ্কারের কথা যখন বলে, যে বিষয়টি হয়তো তার অজ্ঞানতার কারণে মনে হয়েছে এটি ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, তিনি সেটাকে তাচ্ছিল্য করে বিজ্ঞানকে একেবারে জেরবার করে ফেলেন। আর কমন ডায়লগ তো আছেই―এগুলো ইহুদি-নাসারাদের ষড়যন্ত্র! উপস্থিত শ্রোতারা এগুলো শুনতেই বসে থাকে। জোরছে আওয়াজ উঠে―ঠিইইইক!
মানুষের ধর্মান্ধতা জন্ম নেয় তার অজ্ঞতা থেকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কী, জানেন? আমরা অনেকেই আমাদের অজ্ঞতাকে গৌরব বলে প্রচার করি। তারা যুক্তি দেয়, নবীজি তো নিরক্ষর ছিলেন, তবু তিনি আরব জয় করেছিলেন। আমাদেরও জ্ঞান-বিজ্ঞানের অত কিছু জানার দরকার নাই। আরে বোকা, নবীজি নিরক্ষর ছিলেন বলে তিনি তার উম্মতকে নিরক্ষর থাকতে বলেননি। ইসলামে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে যে কয়েকটি বিষয়ে, তার মধ্যে অন্যতম হলো জ্ঞানার্জন। এই জ্ঞানার্জনের কোনো সীমা পরিসীমা নেই। কুরআনে বার বার জ্ঞানার্জনের কথা বলা হয়েছে। জ্ঞানীকে অজ্ঞের উপরে স্থান দেয়া হয়েছে। সুতরাং, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিও জ্ঞানের শাখা। এটা অর্জন করা অধর্ম নয়, এটাও পুণ্যের কাজ; যদি আপনি পুণ্যপথের সারথি হন।
যাক সে কথা। এবার ওই ৩২ হাজার বছরের ‘বৃক্ষপুরাণ’ নিয়ে কিঞ্চিৎ কথা বলি। কথা মূলত প্রাণির জীবাশ্ম এবং ডিএনএ নিয়ে। ৩২ হাজার বছরের পুরোনো ছোট্ট একটি ফল থেকে নিবিড় গবেষণা ও পরিচর্যার মাধ্যমে কীভাবে একটি প্রাঞ্জল উদ্ভিদ উদ্গত হয়, এর সঙ্গে আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসটা ঝালিয়ে নেবারও কিন্তু সুযোগ আছে। আসুন, সেদিকে খানিক নজর বুলাই।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলছেন:
‘সে আমার সম্পর্কে এক অদ্ভুত কথা বর্ণনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়! সে বলে, কে জীবিত করবে অস্থিসমূহকে যখন সেগুলো পচে গলে যাবে? বলুন, যিনি প্রথমবার সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই জীবিত করবেন। তিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত।’ (সুরা ইয়াসিন, আয়াত ৭৮-৭৯)
আয়াতের এ অংশটির প্রতি লক্ষ করুন, ‘তিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সর্বাধিক অবগত’। এখানে আল্লাহর অবগতির যে বিষয় সম্পর্কে আমাদের বলা হচ্ছে সেই অবগতির ধরনটা কেমন? আয়াতের আগের অংশের দিকে লক্ষ করুন যেখানে বলা হয়েছে, প্রাণির অস্থি, হাড়, মজ্জা সব পচে গলে মাটি বা জলের সঙ্গে মিশে যাবে, তারপরও তিনি সেই প্রাণি বা মানুষকে জীবিত করতে পারবেন। একদম তেমনই করে সৃষ্টি করবেন যেমন নাকি তাদের আগে সৃষ্টি করা হয়েছিল, একেবারে হুবহু করে। মানে, আপনি এখন যেমন আবদুর রহিম আছেন, আপনাকে আল্লাহ ঠিক এরকমই করে পুনরুত্থিত করবেন কিয়ামত দিবসে।
কীভাবে করবেন আল্লাহ তাআলা? আমরা তো বলব, আল্লাহ ইচ্ছা করলে যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। তিনি বলবেন হও, আর সব হয়ে যাবে। এটা তো ঠিক, এটা আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি। কিন্তু আল্লাহ মানুষের জন্য জ্ঞানকে সীমিত করে দেননি এবং বার বার তাকে তাগিদ দিয়েছেন সৃষ্টি ও সৃষ্টিজগত সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা করতে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে যদি এই আয়াতটি দেখি, ‘তিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সর্বাধিক অবগত’-এর মানে হচ্ছে, একটি সৃষ্টি কিংবা ধরি একটি প্রাণি, সেটি যখন যে অবস্থায় থাকবে তিনি সে অবস্থা সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল থাকবেন। হোক সেটি মাতৃগর্ভে, ভূপৃষ্ঠে, জীবাশ্ম রূপে কিংবা কেবলমাত্র রুহ অবস্থায়।
এর ব্যাখ্যা অনুধাবনের জন্য সুরা ইয়াসিন-এর আরেকটি আয়াত দেখুন:
‘আমিই মৃতদেরকে জীবিত করব এবং লিখে রাখি যা তারা আগে পাঠিয়ে দেয় আর যা পেছনে ছেড়ে যায়। আমি প্রত্যেক বস্তু স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি।’ (সুরা ইয়াসিন, আয়াত ১২)
এই আয়াতের তাফসির দুইভাবে করা যায়। অধিকাংশ তাফসিরকার যেমনটা বলেছেন যে, এখানে মানুষের নেক আমলের কথা বলা হয়েছে, যা সে জীবিত অবস্থায় করেছে এবং কিছু কাজ সদকায়ে জারিয়া হিসেবে তার মৃত্যুর পরও জারি থাকবে।
আবার এখানে ‘যা তারা পেছনে ছেড়ে যায়’ এই আয়াতাংশে কুরআনে ব্যবহৃত হয়েছে اٰثَارَهُمۡ (আসারাহুম) শব্দটি। ‘আসার’ শব্দের নানাবিধ অর্থ আছে। এর কিছু বহুল প্রচলিত অর্থ যেমন পদাংক, স্মৃতিচিহ্ন, ছেড়ে যাওয়া হয়েছে এমন। এই হিসেবে ‘আসার’ শব্দ দ্বারা যদি আমরা মানুষের জীবাশ্ম বা ডিএনএর কথা ব্যাখ্যা করি তাহলে আয়াতের সঙ্গে আমাদের বর্তমান সময়ের বিজ্ঞানকে খুব সহজেই অঙ্গীভূত করতে পারি।
যেহেতু আল্লাহ আয়াতের শুরুতে মৃতদের জীবিত করার কথা বলেছেন, সুতরাং পরবর্তী অংশে মৃতদের কীভাবে জীবিত করা হবে তার ব্যাখ্যা আসাটাই স্বাভাবিক। আয়াতের একদম শেষের অংশে আল্লাহ বলছেন, ‘আমি প্রত্যেক বস্তু স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি।’ এই আয়াতাংশ আমাদেরকে প্রাণের ডিএনএ বা জীবাশ্ম সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার আরও কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে। ৩২ হাজার বছর আগের ক্ষুদ্র একটি ফল থেকে আস্ত একটি গাছ জন্মাতে পারে, তবে আল্লাহ কি মানুষের ফসিল/জীবাশ্ম/ডিএনএ থেকে মানুষকে নতুন করে গড়তে পারবেন না?
আল্লাহ তাআলার যে ডাটা সেন্টার, সেখানে তিনি প্রতিটি প্রাণ ও প্রাণির জীবাশ্ম সংরক্ষণ করে রাখছেন। যখন প্রয়োজন হবে, তিনি ঠিক তেমন মানুষই বানাবেন যেমনটি তারা পূর্বে ছিল। কুরআনে যেমন বলেছেন তিনি ‘যিনি প্রথমবার সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই জীবিত করবেন।’
আমাদের বাড়ির পাশে বিল। শুকনো মৌসুমে ধান, পাট, ভুট্টাসহ নানা মৌসুমী ফসল ফলে, আবার বর্ষা মৌসুমে জলে থই থই করে পুরো বিল। বিলে যখন বৃষ্টির পানি জমে, কোথা থেকে যেন ছোট মাছে ভরে যায় সারা বিল। কই থেকে আসে এ মাছগুলো? না, আমাদের বিলের সঙ্গে কোনো নদী বা খালের সরাসরি সংযোগ নেই। কেবলমাত্র বিল উপচে যায় যখন, তখনই কেবল পাশের একটা খাল দিয়ে অন্য আরেকটা বিলের পানি আসে। এমনিতে বিলে বৃষ্টির পানি জমলেও সেখানে প্রচুর কাচকি, পুঁটি, ডানকিনা, খলসে, টাকি এমন আরও নানা ছোট মাছে সয়লাব হয়ে যায়। সাত-আট মাস তো বিল শুকনো থাকে, তখন তো মাছগুলো বেঁচে থাকার কথা না। তাহলে মাছগুলো আসে কোথা থেকে? মটির তল থেকে?
হ্যাঁ, মাছের জীবাশ্ম থেকে জন্ম হয় এসব মাছের। আগের মৌসুমে বিলে যেসব মাছ ছিল, সব মাছ তো আর মানুষ মারতে পারে না। অধিকাংশ মাছই বিলের জলে রয়ে যায়। পানি কমতে কমতে বিল শুকিয়ে গেলে মাছগুলোও মারা যায় এবং সেগুলোর অস্থি-মজ্জা মাটির সঙ্গে মিশে যায়। জেগে থাকে কেবল মাছের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জীবাশ্ম। এই অতি ক্ষুদ্র জীবাশ্মগুলো শুকনো মৌসুমে জমি খড়খড়ে হয়ে গেলেও ধ্বংস হয় না। জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে কয়েক প্রস্থ ভুট্টা, গম, সরিষা বা যেকোনো চৈতালী ফসল বোনা হোক না কেন, জীবাশ্মরা জেগে থাকে। মাটির প্রতিটি কণার সঙ্গে মিশে থাকে তারা। ধুলোর সঙ্গে ধুলো হয়ে উড়ে। আর প্রতীক্ষা করে আগামী বর্ষার। যেই না বর্ষার বৃষ্টির ফোঁটা জমিতে পড়তে শুরু করে, মাছের জীবাশ্মগুলো জলের মধ্যে ফোটাতে শুরু করে জীবন। পানি জমতে জমতে তাই বিল ভরে যায় ছোট মাছের ঝাঁকে। এভাবেই চলে আসছে সহস্র বছর ধরে, সেই সৃষ্টির আদি থেকে।
যারা মাছের খবর টবর কিছুটা রাখেন তারা জানেন, এখন বাংলাদেশের অনেক প্রজাতির মাছ আর পাওয়া যায় না। আগে দেদার পাওয়া যেত, কিন্তু এখন আর পাওয়া যায় না। সেসব মাছের প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কীভাবে বিলুপ্ত হলো? আমরা এখন আমাদের চাষের জমিতে প্রচুর সার, বিষ ও কীটনাশক ব্যবহার করি। এসব সার ও বিষে অনেক মাছের জীবাশ্ম অকেজো হয়ে যায়, সেগুলো উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। ফলে বর্ষা মৌসুম এলেও পানির সংস্পর্শে সেসব জীবাশ্ম আর নতুন করে মাছের জীবন জাগিয়ে তুলতে পারে না। একসময় কাকিলা, গুতুম, টাটকিনি, বাইলা, ফলি, টেংরাসহ আরও বহু প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত আমাদের বিলে। কিন্তু এখন এসব মাছ পাওয়া যায় না। কারণ, এই মাছদের জীবাশ্মরা সার, বিষ আর কীটনাশকের প্রভাবে অকেজো হয়ে গেছে। তবে খালে-বিলে এসব মাছ না পাওয়া গেলেও চাষের মাধ্যমে এসব মাছকে আবার ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। সে ভিন্ন আলাপ।
যাক, এবার মানুষকে রাখুন মাছের জায়গায়। একজন মানুষ মারা গেল। কবর দেয়া হলো তাকে, কিংবা আগুনে পুড়িয়ে ফেলে তার ছাইভস্ম ছড়িয়ে দেয়া হলো নদীতে, কোনো লাশ ভাসিয়ে দেয়া হলো নদীর জলে, কোনো লাশের সৎকার করাই গেল না, সে হয়তো নিভৃত কোনো স্থানে গিয়ে মৃত্যুবরণ করল। যে কোনোভাবেই হোক, এ পৃথিবীর কোথাও না কোথাও সে তার শরীরের ডিএনএ রেখে গিয়েছে, তার জীবাশ্ম সজীব রয়েছে সহস্র বছর ধরে।
আমি বিজ্ঞানের আবিষ্কার বা তত্ত্বকে হুট করে ফালতু বলে সরিয়ে দিতে রাজি নই। যেটা চাক্ষুষ, যেটা সূর্যের মতোই স্পষ্ট সেটাকে আপনি কেন অস্বীকার করবেন? ইসলামের সঙ্গে বিজ্ঞানের অনেক তত্ত্ব সাংঘর্ষিক আমাদের কাছে মনে হতে পারে, হতেই পারে। তার মানে কি ব্যবহারিক বিজ্ঞান মিথ্যা বলছে? এমনও তো হতে পারে, কুরআনকে যে গভীর জ্ঞান দিয়ে অধ্যয়ন করা দরকার সেই পরিমাণ জ্ঞান আমরা আয়ত্ত করতে পারিনি। যে পরিমাণ জ্ঞান থাকলে আমরা কুরআনের ছাঁচে ঢেলে বিজ্ঞানের তত্ত্বকে আরও বিস্তৃত করতে পারব, সেই জ্ঞানই হয়তো আমরা এখনও অর্জন করতে পারিনি। বিজ্ঞানকে কুরআনের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দ্বারা ক্ষতি ছাড়া তেমন কোনো লাভ দেখছি না।
মধ্যযুগে ইউরোপীয় খ্রিষ্টীয় সমাজ ছিল বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের শাসক, গির্জাধ্যক্ষ এবং ধর্মীয় পুরোহিতরা বিজ্ঞানকে অধর্ম বলে একে সমাজছাড়া করতে ছিলেন বদ্ধপরিকর। যারাই বিজ্ঞান নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট বা নতুন কোনো তত্ত্ব হাজির করত, হয়তো তাদের সমাজচ্যুত করা হতো নয়তো কতল করে রাস্তার মোড়ে টাঙিয়ে রাখা হতো তার লাশ। পুড়িয়ে বা জীবন্ত কবর দেয়ার ভুরি ভুরি ঘটনাও আছে। বিজ্ঞান মানেই ধর্মের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষ, ঈশ্বরের মহানত্বের চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ বেয়াদবি!
ঠিক এই সময়টাতেই আরব ও মধ্যএশিয়ার মুসলিম ভূখণ্ডগুলোতে বিজ্ঞান প্রবল গতিতে এগিয়ে চলছিল। মসজিদ এবং শিক্ষায়তনগুলোতে চলত বিজ্ঞানের নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট। আলেম, বিদ্বান ও স্কলাররা ব্যবহারিক ও তত্ত্বীয় বিজ্ঞান নিয়ে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতেন। মুসলিম শাসকরা অঢেল টাকা খরচ করতেন জ্ঞান ও বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের পেছনে লেগে থাকা ব্যক্তি ও বিদ্যায়নগুলোতে। বিদ্যায়তনগুলো একদিকে ইসলামি ফিকহ, হাদিস ও ধর্মীয় বিষয়ে যেমন যোগ্য লোক তৈরি করত, তেমনি বিজ্ঞানের জন্যও ছিল সেগুলোর আলাদা ফ্যাকাল্টি। এভাবেই মুসলিম সালতানাতে রচিত হয়েছিল মধ্যযুগের সোনালি অধ্যায়।
সুতরাং সিদ্ধান্ত আপনাকে নিতে হবে। আপনি ইচ্ছা করলে মধ্যযুগের খ্রিষ্টীয় সমাজে জায়গা করে নিতে পারেন, আবার ইচ্ছা করলে পারেন মুসলিম সোনালি যুগও ফিরিয়ে আনতে।
Photo: National Geographic