(পাঠকের কলম থেকে)

প্রিয় সাজা ভাই

প্রথমেই আমর পরিচয়পূর্বক সালাম নেবেন। আমি আপনার এক নগণ্য পাঠভক্ত। সময়ে সময়ে আপনাকে পাঠ করি। অধ্যয়ন করি—কবিতা, গল্প, কথাসাহিত্য।

প্রিয় সাজা ভাই

ততদিনে আপনার প্রিয় প্রেয়সী নারী, এই আমাদের গল্প, বদরের বীর, প্রিয়তমাসহ অনেকগুলো মাস্টারপিস পাঠস্থ হয়ে গেছে আমার।লেখার পরতে পরতে জহরত ছড়ানো। আবেশ ছিটানো। গভীরে ঢুকে রপ্ত করেছি ভাব-ভাষা। তখন থেকেই জানতে আগ্রহী হলাম, কে এই সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর! যার লিখনির ধরণ ও ধাঁচ মুগ্ধতা ছড়ায়। বুনন যার ঝরঝরে তরতরে।

প্রিয় সাজা ভাই

সেদিন বিকেলে আপনি একটি চেয়ারে বসা ছিলেন। শান্ত-সুবোধ সাধারণ আদমির মতো।লোকজন আপনাকে ঘিরে রেখেছিল। আর আপনি উপস্থিত জনতার সঙ্গে দরবেশি কথাবার্তা বলছিলেন।

প্রথম প্রথম আপনাকে চিনতে পারিনি। জিগ্যেস করে জানতে পারলাম আপনিই সেই কাঙ্ক্ষিত সালাহউদ্দিন জাহাঙ্গীর। আমি আপনাকে সালাম দিয়ে মোসাফাহা করলাম। পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। আর মুগ্ধ হয়ে আপনার কথা গুলো লুফে নিচ্ছিলাম।

আপনি মুজিবকে বলছিলেন, তুমি প্রেম করো? মুজিব মুচকি হেসে ‘না’ বলেছিল। পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা মাহমুদ জানান দিল, আমি প্রেম করি। প্রেম নিয়ে প্রেমকথাও লিখি। আপনি তখন বলেছিলেন এই সময়টা তোমাদের লেখালেখির শুরুর সময়। যেকোনো বিষয় নিয়েই লিখবা। আপনার মতো একজন দরবেশ উপদেশকের দামী দামী কথা শুনছিলাম সেদিন।

প্রিয় সাজা ভাই

এত এত কথার মাঝেও আপনি বুঝাচ্ছিলেন শিষ্টতা ও শ্লীলতার কথা।আদবের কথা। আপনি বলেছিলেন তোমরা সবকিছুর আগে চরিত্রবান হও।

প্রিয় সাজা ভাই

বইমেলায় (কিশোরগঞ্জের তারাপাশায়, ২০১৭ এর দিকে) সেদিন আপনার পুরনো ও আনকোরা ক’টি বই উঠেছিল। একটি কবিতার বইও ছিল। ইয়া আফরোজা ইয়া আফরোজা নামে। ১১০ টাকার বিনিময়ে কিনেছিলাম কাব্যগ্রন্থটি। বইমেলায় আপনার ‘প্রিয়তমা’ ছিল বেস্টসেলার।

ইয়া আফরোজাকে যখন নিয়ে এলাম অটোগ্রাফের জন্য। প্রশ্ন করেছিলেন, তুমি কি কবিতা পড়?

আমি বলেছিলাম জ্বি পড়ি।

কার কবিতা পড়?

আমি বলেছিলাম, কবি ফররুখ আহমদের কবিতা পড়ি।

ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি এনে আপনি অটোগ্রাফ দিয়েছিলেন —

“দিগ্বিজয়ের অভীপ্সা জন্ম হোক প্রাণে”

সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর

৮-১২-১৭

প্রিয় সাজা ভাই

এভাবেই আপনার সঙ্গে আমার পরিচিতি। এই পরিচিত দিন দিন বেড়েই চলছে। আপনাকে যতই পড়ি, ভালো লাগে। পড়তে গিয়ে ক্লান্ত হই না কখনো। আপনার নির্ঝর গদ্য নিত্য পড়ি।

আমাদের দিলের আওয়াজ কি জানেন! আমাদের জন্য আরও লিখুন। যে লেখা সুন্দরের পথ দেখাবে। যা হবে পরম সানন্দের। ভালো থাকবেন প্রিয় লেখক।প্রিয় মানুষ।

মাআসসালাম।আবদুল্লাহ শাকেরতাকমিল, রাহমানিয়া, মোহাম্মদপুর। ২০২০ খ্রি.