তাবলিগ হয়ে যায় ব্যথার দহন

মাঝে মাঝে ইচ্ছা হয়, আমি জঙ্গে সিফফিনের বর্শায় গাঁথা সেই এক জিলদ কুরআন হয়ে যাই। হজরত মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর বাহিনী রক্তাক্ত যুদ্ধের ময়দানে যে কুরআনকে বর্শায় বেঁধে সুউচ্চে তুলে ধরে বলেছিলো, ‘আর যুদ্ধ চাই না। আমাদের মাঝে ন্যায়ের ফয়সালা করবে এই কুরআন।’ আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর বাহিনী কুরআনের সম্মানে সেদিনই যুদ্ধবিরতি Read more…

ডিসেম্বরের পদাবলী

ভালোবেসে নিহত হলো আমার যেসব স্বপ্ন তারা সবাই শহীদ এখন, পাঠ্যবইয়ের রত্ন মরণোত্তর খেতাব পেয়ে তারা ‘প্রেমশ্রেষ্ঠ’ আমি, প্রেমাহত মুক্তিযোদ্ধা একা একা দেই পাহারা তোমার হৃদয়-রাষ্ট্র

বুকপকেটে আগুন দিলাম

কার কাছে রাখি গচ্ছিত বর  আগুন আগুন এই অভিশাপ এই অভিশাপ তোমার নামে পাঠিয়ে দিলাম নষ্ট হলে সিংহাসনের খড়্গ-কৃপাণ এই অভিশাপ ছড়িয়ে দিলাম ধানের কাছে মাটির কাছে, সাঁঝ-বিকেলে হাঁসের ডানায় তুলে দিলাম, রক্তকমল ঝোঁপের রঙে এই অভিশাপ শিশুর কানে বলে গেলাম নদীর স্রোতে পলিমাটি, উজান-ভাটির তাগড়া দেহে ভাসিয়ে দিলাম এই Read more…

এতদিন কোথায় ছিলেন

এরপর থেকে বিস্তীর্ণ পথ হেঁটে যাবো, কাজী কুসুম থেকে চুমুক দিয়ে পান করবো শুভ্র বিষ মাটির মধ্যে গড়াগড়ি করে দাফন করবো স্বপ্ন নষ্ট নদী সাঁতরে পার হয়ে চলে যাবো জ্যোৎস্নার অনশনে ক্ষুধা-ক্লান্তিতে বেদনার কাঁধে মাথা রেখে নুয়ে পড়বো রাত্রি উদ্বেল বালিকাদের ঘরের পাশ দিয়ে যেতে খুব শিশ মারবো আর মুখে Read more…

রাসুলের জন্য কবিতা এবং আমি যা পড়লাম

‘রসূল (সা.)কে নিবেদিত কবিতা’ বইটি পেলাম এহসানের বাসায়। এর আগে আসাদ বিন হাফিজ ও প্রয়াত মুকুল চৌধুরী সম্পাদিত ‘রাসুলের শানে কবিতা’ কাব্যসংকলনটি পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় রচিত বিখ্যাত সব রসুলপ্রশস্তি কবিতা স্থান পেয়েছিল। বইটি পড়ে বিশেষ ঋদ্ধ হয়েছিলাম। কিন্তু হাতে নেয়া বইটি কেবলই বাঙালি কবিদের রসুলপ্রশস্তি দিয়ে সাজানো Read more…

একটা দুইটা তমুক ধর – সকাল বিকাল নাস্তা কর

প্রচলিত একটা স্লোগান আছে— ‘একটা দুইটা তমুক ধর – সকাল বিকাল নাস্তা কর’! মিছিলকারী লোকজন প্রতিপক্ষের নাম ধরে এই স্লোগান দিয়ে থাকে। কিন্তু এই স্লোগানের মর্মোদঘাটন করা আজ পর্যন্ত আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। এই স্লোগান বড় মশহুর স্লোগান। একসময় পল্টন-মুক্তাঙ্গনের মিছিলে আমিও বহুত দিয়েছি। মর্মোদঘাটন ছাড়াই দিয়েছি। স্লোগানের জন্য মর্ম Read more…

আমার জলশৈশব : প্রেমপত্রলেখক

‘পুকুরেতে পানি নাই পাতা তবু ভাসে যার সাথে দেখা নাই সে কেন হাসে’ আমার কৈশোরকালের একটা সময় কেটেছে বিখ্যাত ‘পত্রলেখক’ হিসেবে। নানাধর্মী পত্র; বাবা-পত্র, মা-পত্র, প্রবাসী ভাই-পত্র, দূরে থাকা বন্ধু-পত্র এবং অতি আবশ্যিক প্রেমপত্র। নানাজনের প্রেমপত্রের লেখক হিসেবে আমার আলাদা সুনাম ছিলো বন্ধু এবং ভাই বেরাদরমহলে। ছড়া-কবিতার হাতসাফাইটা তখন কেবল Read more…

ভুলেল প্রেম

বাকসে বাকসে জমিয়ে রাখা উমভোর ভদ্র হয়ে গেছি খুব, সেইসব রাতজাগা কান্না মন, কেমন থাকো আজকাল বৃষ্টি এলে ব্যালকনি ছাঁট দেয়া মনপোড়া বর্ষণ হাত দিয়ে ধরে দেখা শিরশির অনুভব থালা-বাটি, ফুলের টব, রান্নার টুংটাং আলগোছে সবকিছু সরিয়ে মন, সাজিয়ে রাখছো এক তোড়া নীল মন কাউকে বলো না, নিভৃত ব্যস্ততা একা Read more…

দুলে ওঠা জানালা

জানালার পর্দা দুলে উঠার মাঝে একটা ব্যাপার আছে। মিহি একটা তাল, অনেকক্ষণ চেয়ে থাকলে তালটা ধরা যায়। আমি জানালার পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকছি না আজকাল। জানালা বেশ একটা দরকারি বিষয়— আলো-বাতাস দেয়, বেলা দেখা যায়, হ্যাঙার ঝুলিয়ে রাখি; সবময়ই তো চোখে পড়ে। সবসময় তাকাতে হয় না।  সামনের ফ্ল্যাটের চারতলার দরোজায় Read more…

স্বীকারোক্তি

আমি একবার আমার প্রেমিকাকে মিনতি করে বললাম— তুমি যখন কাঁদবে, আমাকে ডেকে নিও পৃথিবীতে নারীর কান্নার মতো ভয়ঙ্কর সুন্দর কিছু নেই আর তুমি কাঁদবে আর আমি একজন নওমুসলিমের মতো অবাক হয়ে দেখবো তোমার গাল বেয়ে নেমে আসছে ঈশ্বরস্পর্শী সালসাবিল ঝর্ণাধারা মরু-তৃষিতের মতো বুভুক্ষা আমি শুষে নেবো প্রতি ফোঁটা বিন্দুজল কাউসার Read more…