লিখতে গেলে শব্দের শেষে ‘ই’ এবং ‘ও’ অব্যয় পদের ব্যবহার যেন পরিমিত থাকে। অনেক নতুন লেখকের ক্ষেত্রে দু-এক বাক্য পরপর এই দুই অব্যয় পদ অধিক ব্যবহারের প্রবণতা থাকে। 

এক বাক্যে অধিক অব্যয় পদের ব্যবহার বাক্যকে দুর্বল করে তোলে এবং শুনতে শ্রুতিকটু লাগে। ব্যাকরণিকভাবে এটা দোষণীয়। 

নতুনরা লেখার বক্তব্য বা গল্পকে সংহতভাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সাধারণত শব্দের শেষে ‘ই’ এবং ‘ও’ অব্যয় পদ বেশি ব্যবহার করেন। কারণ, শুরুর দিকে নিজের লেখা নিয়ে তার আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকে এবং মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের এই কমতি ‘ই’ এবং ‘ও’ দিয়ে পূরণ করার প্রবণতা তৈরি হয়। আরও নানা মনস্তাত্ত্বিক কারণ আছে। সবাই লেখার দিকে একটু খেয়াল করলেই সেটা বুঝতে পারবেন।

কিছু উদাহরণ:
১. আরও নানা মনস্তাত্ত্বিক কারণ(ও) আছে।
২. এক বাক্যে অধিক অব্যয় পদের ব্যবহার বাক্যকে দুর্বল করে তোলে এবং শুনতে(ও) শ্রুতিকটু লাগে।
৩. নতুনরা লেখার বক্তব্য বা গল্পকে সংহতভাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য(ই) সাধারণত ‘ই’ এবং ‘ও’ অব্যয় পদ বেশি ব্যবহার করে।
৪. বাক্যের ভাব বুঝতে যার আসলে প্রয়োজন(ই) নেই।

উদাহরণগুলোতে শব্দের শেষে ব্র্যাকেটবন্দী অব্যয় পদের ব্যবহার দেখুন, এই পদগুলো না থাকলেও বাক্যের ভাব বুঝতে কোনো সমস্যা হতো না। এগুলো ব্যবহারের কারণে বাক্যের মধ্যে অযথা তাগিদ চলে এসেছে, বাক্যের অর্থ বা ভাব বোঝার ক্ষেত্রে যার আসলে প্রয়োজন নেই। অনেক সময় অব্যয়ের এমন অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার বাক্যের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। প্রয়োজনে তো অবশ্যই অব্যয় ব্যবহার করতে হবে, তবে অপ্রয়োজনে যেন ব্যবহার না হয়—সেটা খেয়াল রাখতে হবে।