হেফাজতে ইসলামের সবচে বড় সফলতা— তারা শাহবাগ এবং শাহবাগকেন্দ্রিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে একটা হাস্যকর সম্প্রদায়ে পরিচিত করতে পেরেছে। একই সঙ্গে শাহবাগের আজিজ মার্কেটকেন্দ্রিক বামচিন্তার চিন্তক এবং তাদের ব্রেইনওয়াশিং কর্মকাণ্ডকে এক প্রকার যাযাবর সম্প্রদায়ে পরিণত করে দিয়েছে।

এই সম্প্রদায় বর্তমানে ঠিকানাবিহীন। যেইখানে রাইত সেইখানে কাইৎ… অবস্থা!
বিভিন্ন পাশ্চাত্য মতাদর্শের প্রচারক এক সময়কার পাওয়ারফুল এইসম্প্রদায়ের সাধুসঙ্গীয় কেন্দ্রবিন্দু আজিজ মার্কেট এখন কেবলই ইতিহাস!

‘শাহবাগের মক্কা’ বলে পরিচিত আজিজ মার্কেট বর্তমানে পরিণত হয়েছে স্রেফ একটা পাঞ্জাবি-গেঞ্জির আড়তে…!

ঢাকার আলেক্সান্দ্রিয়া বলে বিখ্যাত এ মার্কেটে একসময় বই ব্যতিরেকে ভিন্ন কিছু চিন্তা করাও ছিলো মহাপাপ। বর্তমানে সেখানে প্রথম আলোর মারোয়াড়ী প্রকাশনা ‘প্রথমা’ ছাড়া আর উল্লেখযোগ্য কোনো বইবিতান নেই। ‘পাঠক সমাবেশ’ও অনেক আগেই কর্পোরেটেড হয়ে সিসিটিভির যুগে চলে এসেছে।

তবে আজিজ মার্কেট বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের অংশীদার অবশ্যই। এ দেশের অনেক বড় বড় কবি-লেখক-শিল্পীর বেড়ে উঠার পাওয়ার হাউজ ছিলো আজিজ মার্কেট। এ মার্কেট বাংলা সাহিত্যের অনেক কালজয়ী সৃষ্টির নীরব সাক্ষী হয়ে থাকবে বহুদিন।

কিন্তু ‘কুদরত কোনো কওমের সম্মিলিত অপরাধ ক্ষমা করে না’— নসিম হিজাজির এই সূত্র মোতাবেক আজিজ মার্কেটের পতনের জন্য দুঃখপ্রকাশ ছাড়া আমরা আর কিছুই করতে পারি না। গো টু প্যাভিলিয়ন…!

আজিজ মার্কেট, তোমায় লাল সেলাম!