শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফি (রহ.) বছর আগে ইন্তেকাল করেছিলেন। তাঁর মৃত্যু এবং মৃত্যু পূর্ববর্তী ঘটনাবলি—দুটোই ছিল এ জাতির অনাকাঙ্ক্ষিত কলুষময় ভবিষ্যতের পদধ্বনি। আশা করি চাক্ষুষ্মাণ ব্যক্তি মাত্রই বিগত দিনগুলোতে তা প্রত্যক্ষ করেছেন।

শাইখুল ইসলামের মৃত্যুর মাসখানেক পর কিছুটা আবেগ নিয়ে হাটহাজারী মাদরাসায় গিয়েছিলাম। দু’দিন ছিলাম সেখানে। এ দুদিনে বুঝতে চেষ্টা করছিলাম হাটহাজারীতে ঘটে যাওয়া পূর্বাপর ঘটনাবলির প্রতিফলন কীভাবে ঘটছে। সেই প্রত্যক্ষদর্শন তখন লিখে রেখেছিলাম ডায়েরিতে।

এর দু’ মাস পর শাইখুল ইসলামের স্মারকের কাজে প্রায় সপ্তাহখানেকের জন্য হাটহাজারী মাদরাসায় থাকতে হয়। সেখানে অবস্থান করে শাইখুল ইসলামের স্মৃতিধন্য নানা স্থানে গিয়েছি, কথা বলেছি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে, সাক্ষাতকার নিয়েছি অনেকের। তখনকার প্রতিদিনের ঘটনাবলিও আমি ডায়েরিতে লিখে রাখতাম।

সব মিলিয়ে প্রায় সাত-আট দিনের ডায়েরি, কিন্তু ব্যাপ্তি বেশ বড়। হিসাব করে দেখি ১০০ পৃষ্ঠার মতো হয়ে গেছে। কারণ হলো, প্রতিদিনের দিনপঞ্জি লেখার সঙ্গে সঙ্গে আমি তখনকার পরিস্থিতি নিয়ে নিজের প্রচুর পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা, বিভিন্ন ঘটনার সুরতহাল লিখে রেখেছি। এ-সব আমার একান্তই নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও মতামত।

সেই স্পর্শকাতর ডায়েরিগুলো নিয়েই প্রকাশিত হবে এ বই—‘হাটহাজারীর পথে পথে’। আশা করি, শিগগিরই প্রকাশ হবে ইনশাআল্লাহ!


Leave a Reply

Your email address will not be published.