‘ভালো থাকবেন‘— এমন বাক্য বলা বা কথা বলা কি শিরক?

আজকে একজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে জানতে পারলাম। সে বলল, এই কথার দ্বারা নাকি শিরক হয়। কারণ, ভালো রাখার অধিকার বা ক্ষমতা বা দায়িত্ব একমাত্র আল্লাহ তাআলার। কোনো মানুষের পক্ষে তো ‘মানুষকে’ ভালো রাখা সম্ভব নয়! কারো নিজের দ্বারা নিজের ভালো থাকা ইমপসিবল! ভালো থাকানো, ভালো রাখানোর মালিক আল্লাহ!

মানহাজি বা সালাফি টাইপের কেউ একজন তাকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছে। তার কথা শুনে আমি তাজ্জব বনে গেলাম! (স্যরি, নিজে থেকে তো তাজ্জব তো হওয়া যাবে না। তাজ্জব করার একমাত্র মালিক আল্লাহ!)

এই যে একদল ‘স্বোয়াহীহ’ (সহিহ) তরিকার লোক সমাজে ঘুরে বেড়াচ্ছে, নানা রকম বদবখত থিউরি ডেলিভারি দিচ্ছে, এদের ম্যান্ডেটটা আসলে কী? ধর্মের নামে এরা আসলে চায় কী? ইসলামকে এরা সুঁইয়ের মাথার মতো চোখা করে ফেলছে। এই সুঁইয়ের মাথা থেকে লড়েছিস কি মরেছিস!

এই চোখা ইসলাম এরা কই থেকে আমদানি করল? এটা তো নবীজির (সা.) ইসলাম নয়। সাহাবিরা তো এই ইসলাম চর্চা করেনি। তাদের সর্বত্র ‘স্বোয়াহীহ’ প্র্যাকটিস আর যত্র তত্র শিরক তালাশের প্রাণান্ত প্রচেষ্টা ইসলামকে দিনকে দিন শেকলবন্দী করে ফেলছে।

‘ভালো থাকবেন‘—এই কথাটার মধ্যে যারা শিরক খুঁজে পায়, তারা হয়তো ইসলাম বুঝেই না অথবা ভাষাজ্ঞান বলতে তাদের মধ্যে সামান্যতম জ্ঞান নেই। এটা একটা দোয়া, অপরের জন্য শুভাশীষ। এই বাক্যে যদি শিরক লুক্কায়িত থাকে তাহলে ভবিষ্যত-বাচক সকল বাক্যই শিরক হয়ে যাবে। আপনি করবেন, আপনি যাবেন, আবার আসবেন—ইত্যাদি সকল বাক্যই তো তাহলে শিরক।

ইসলামকে এরা একটা পোশাকি ধর্ম বানিয়ে ফেলছে, কেমন যেন একটা লোকদেখানো ধর্ম! ব্যাস, কিছু শব্দের পোশাক আর কিছু উদ্ভট চিন্তার পোশাক পরিয়ে মানুষের সামনে নিজেদের প্রেজেন্ট করছে—উই আর প্র্যাকটিসিং মুসলিম।

ইসলাম এভাবে হয় নাকি?