উহুদ যুদ্ধের ক্রান্তি মুহূর্তে যখন আমি তালহা কিংবা বীরঙ্গনা নুসাইবার (রা.) নিবেদিত বীরত্ব লিখতে যাই, আমার হাত অনেকটা সময় থির হয়ে থাকে। কোন শব্দগুলো আমি নির্বাচন করব তাদের জন্য? আমার বাক্যগুলো কি তাদের রক্তকমল ভালোবাসার যথার্থতা প্রকাশ করতে পারছে? মুসআব আর হানজালার আত্মত্যাগ কি আমার দরিদ্র ভাষাজ্ঞানকে স্পর্শ করতে পারছে?

আমার দ্বিধা কাটে না। তবু আমি লিখে যাই ভালোবাসার কথামালা, নবীজির (সা.) যুদ্ধদিনের কাহিনিকাব্য। তাঁর চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আনসার সাহাবিদের রক্তে রঞ্জিত পাত্থুরে মরুতে খুঁজে ফিরি আমার শিকড়ের উর্বরতা, আমার সঞ্জিবনী। তাদের রক্তঋণ থেকে জন্ম নিয়েছে ইসলামের যে অপরাজেয় বিশ্বাস, এই তো আমাদের হিরন্ময় হাতিয়ার।

‘মৃত্যুঞ্জয়’ নবীজির যুদ্ধজীবনের দ্বিতীয় বৃহত্তর ধর্মযুদ্ধ—উহুদ যুদ্ধের গল্পভাষ্য। এর আগে ‘৩১৩ : বদরযুদ্ধের ঐতিহাসিক গল্পভাষ্যে’ ইসলামের প্রথম ধর্মযুদ্ধ বদরের কাহিনিকাব্য বলা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় লিখছি ‘মৃত্যুঞ্জয়’। ইচ্ছা আছে, নবীজীবনের প্রতিটি যুদ্ধ এভাবে গল্পভাষ্যে কলমবন্দ করার। আল্লাহ সহায় হোন।


Leave a Reply

Your email address will not be published.