কবে যেন রাতে ঘুম ভেঙে মনে হয়েছিল, হতাশ্বাসে ভুগছি কি-না। কিংবা ঘুমুতে যাওয়ার আগে যখন শুয়ে স্মার্টফোনে এটা সেটা গুঁতোগুঁতি করছিলাম, হতাশার চিন্তাটা তখনও আসতে পারে। সঠিক মনে নেই আমার। ঘুমের আগে যতক্ষণ চোখ বুঁজে থাকি, তখন কি জীবন ও জীবনযাপন নিয়ে কিছুক্ষণ ভেবেছিলাম? সমাজ ও পৃথিবী নিয়ে কি কিছু ভাবনা এসেছিল সেদিন? আসা তো উচিত।

এই যে বৃষ্টি হচ্ছে প্রত্যেকদিন, আকাশ মেঘলা বেশ ক’দিন। সূর্য দিনে দু-তিনবার উঠে, মুক্তোর মতো সাদা মেঘ ছড়িয়ে থাকে তখন আকাশে। ঝলমলে রোদ জানান দেয়—শরৎ চলছে। বিলজোড়া হাঁটুডোবা জল। সেই জলে সবুজ ধান, কলমি শাঁকের ডগা, কখনো বেগুনী ফুল উদোম হয়ে ফুটে থাকে। খলবল করে ছোট কাচকি মাছ চিড়িক করে দৌড়ে যায়। স্বচ্ছ খয়েরি জলে একটা কম্পন হয়। মনের ভেতরেও একটা কম্পন থর থর করে। করে না?

বিলে যতটুকু জল আসে, বৃষ্টির জল। খালগুলো দিয়ে এখন আর নদীর জল গড়ায় না। বন্যা হলে কেবল নদী যখন উপচে উঠে, তখন বানের জল আসে বিলের আইল ভেঙে। এ তল্লাটে এখন আর বন্যাও হয় না। বানের জল আসবে কোত্থেকে? উচিত ছিল, নদীতে যখন ভরা যৌবন আসবে তখন খাল দিয়ে টই টই করে গড়ানো জল নামবে বিলে। নদীর গচ্ছিত মাছ খাল গড়িয়ে ঘোলা জল সাঁতরিয়ে বিলে এসে লুটোপুটি করবে। বিলে মাছের আধারের বাড়-বাড়ন্ত। কচুরিপানা, ধানের গোড়া, সোঁদা শ্যাওলা, ফসলের অবশিষ্টাংশ যেটা কৃষকের অলক্ষ্যে পড়ে রয়েছিল জমির আস্তরে, আগাছা, তর তর করে বেড়ে ওঠা বর্ষাতি ঘাসএসব খেয়ে মাছগুলো দিনান্তে বেড়ে উঠবে। দশ-পনেরো দিনে ডাগর হয়ে যাবে তারা। তারপর গ্রামের মাছুরে লোকজন মাছ ধরবে ধর্ম জাল, কারেন্ট জাল, বড়শি, ট্যাটা, জুতি দিয়ে। ছোট মাছের জন্য উঁচি, ঠ্যালাজাল, চাই বানিয়ে পাতবে খেতের বাতরে বাতরে। সকাল হলেই ও পাড়ার কালু, চান্দু, ফটিক, খোকন, পাঞ্জু, জুলহাস পাতিলভরা মাছ নিয়ে ছুটবে বাজারে। সকাল সকাল টাটাকা মাছের গাহাগ ভালো।

কিন্তু বর্ষাতি নদীর জল আর আসে না বিলে। খালগুলো ভরে গেছে অযত্নে, আমাদের লোভের তোড়ে। কলা গাছ, শ্যাঁওড়া গাছ, রাজ্যের আগাছা জন্মে বরাভব সেগুলো। কেউ কেউ খাল কেটে কুমির না এনে বানিয়েছে রাস্তা, বাড়ির পাগাড়। শুকনো মৌসুমে চাষ করে সবজির। পাড়গুলো ভেঙে ভেঙে ভরাট হয়ে গেছে তলানীর স্তর। যেখানটায় নদীর সঙ্গে খালের গাঁটছড়া বাঁধা, যেখান থেকে মিলে মিশে দুজনে একাকার, খালের সরু মুখটা ছুঁয়েছে যৌবনবতী নদীর পেট, সেখানটায় তো রাস্তা এখন। ব্রিজ আছে বটে, কিন্তু তলানীটা বালিভরা, ভরাট মাটি।

বিলে বিলে গড়ে উঠেছে ইটের ভাটা। শক্ত চোয়াল দিয়ে পোড়া মাটিতে আঘাত করে মাছেরা দেখে, আরও বেশি শক্ত ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়া হয়েছে তাদের সাঁতার কাটার স্বাধীনতা। ইটভাটার চিমনি দিয়ে উড়ে ধোঁয়া, নিচে পোড়ে গাছের গোড়া। মেটেরঙা পেলব মাটি পুড়তে পুড়তে লাল হয়। সেই ইটে হয় দালানকোঠা, ঘরবাড়ি হয়, শপিং মল-মার্কেট, বিদ্যালয়-মাদরাসা, হয় মসজিদ-মন্দির।

বিল থেকে কে বা কারা যেন প্রতি শুকনো মৌসুমে মাটি কেটে নিয়ে যায়। বড় বড় মাটিখোদক ভেকু মেশিন গুম গুম শব্দে দিনভর রাক্ষসের মতো খাবলা দিয়ে মাটির বুক থেকে তুলে নেয় মাটির মাংস, তুলে দেয় পাঁচ টনী ট্রাকে। সেই মাটি নিয়ে ফেলে অন্য কোনো বিলে। বিলের ওপর গড়ে উঠছে আস্ত আস্ত পোশাক কারখানা। একটা নয় দুটো নয়, শত শত কারখানা গড়ে উঠছে চোখের পলকে। কাল যেখানে ডানকিনা মাছ ঝাঁক বেঁধে ভাসান দিতো, আজ সেখানে স্নোটেক্স নামের বিরাট পোশাক কারখানা। কাল যে বিলে হল্লা করে বাইচ নামতো, আজ সেখানে বিসিক শিল্প নগরীর ঢং ঢং কলের শব্দে কান পাতা দায়।

প্রতিটি কারখানা থেকে প্রতিদিন টনকে টন বর্জ্য নামছে বিলের জলে। বিল থেকে চুইয়ে যাচ্ছে নদীতে। নদীর জল এখন কুচকুচে কালো, গন্ধে টেকা দায়। কিন্তু এই সেদিন এ নদীতে আমার কৈশোর কেটেছে। আমি এক জেলেকন্যাকে দেখার জন্য সাঁতরে পার হয়েছি বহুবার শেষ আষাঢ়ের দিনগুলিতে। ট্রলারে উঠার প্রতিযোগিতায় পাগলের মতো হাত-পা নেড়ে কেটেছি ডুবসাঁতার। আজ সেই নদী আমার নেই। সেই নদী এখন কারোরই নেই। না মাছেদের, না শুশকের, না কচ্ছপ বা মানুষের। সেই নদী এখন ডলারের খা খা লোভের বলি হয়ে অভিশাপ দেয় হররোজ।

এক বিলের সঙ্গে আরেক বিলের যোগাযোগ নেই। প্রতিটা বিল আরেকটা বিলের সঙ্গে মেশার জন্য, এক জল আরেক জলের সঙ্গ পাওয়ার জন্য, এক মাছ আরেক মাছের সান্নিধ্য কামনায় কেমন ছটফটানি করে, দূরান্তে সাঁতার কেটে কালভার্টের নিচে গিয়ে দেখে মাটির শেকল। সকল বিল আলাদা। ভিন্ন ভিন্ন দেয়ালের ভেতরে যেন কারাগারে দন্ডিত মাছের দল। সেই কারাগারের মধ্যে হাঁসফাঁস করে দলছুট মাছেরা। খাবি খায় বারে বার। লোভী মানুষ আরও ফসলের জন্য, আরও বেশি উৎপাদনের জন্য, আরও বেশি খাবারের জন্য ফসলের ক্ষেতে দিচ্ছে সারইউরিয়া, পটাশ, ফসফরাস, ফুরাডান বিষ। সেই বিষে মরে গেছে শত শত মাছের প্রজাতি। এখন কেবল টিকে আছে অফুরন্ত প্রাণবাহী দীর্ঘজীবী মাছেরা। ক্যাকলা, গুতুম, বাইন, মেনি, টাটকিনি, বাইলা, বাটা, ভেদি, চান্দা, তিতাপুঁটি, ডানকিনা মাছেরা আর ডাকবে না রাত-বিরেতে। হারিয়ে যাওয়া খালের নামে আর কখনো বাইচ নামবে না বিলের ঘেরে।

এখন বিকেল হলে দেখি, হাজার হাজার পোশাককন্যা বেরিয়ে আসে বিলের আঙিনায় গড়ে ওঠা পোশাক কারখানা থেকে। তাদের দেহে ক্লান্তি, কিন্তু বিজয়ের হাসি চোখে-মুখে। মাস শেষে মিলবে হাজার দশেক টাকার মাইনে। বিল উজাড় হচ্ছে, নদী উজাড় হচ্ছে, মাছেরা উজাড় হচ্ছে, জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে; কিন্তু এসবের বিনিময়ে দেশের কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। আমি দোষ দেবো কাকে? কাকেই বা পিঠ চাপড়ে বলবো, ‘বাহ, বেশ হচ্ছে!’
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে খুব হাঁকডাক হচ্ছে। বহুদিন থেকেই হচ্ছে। এর অন্তর্নিহিত কারণ আছে। কারণগুলো নিয়ে আমরা খুব একটা ভাবি না কখনো।

আমাদের পৃথিবীর সভ্যতা দ্রুত উন্নত হচ্ছে। আমরা আধুনিক বিজ্ঞানের আশীর্বাদে প্রতিদিন নতুন নতুন আবিষ্কারে মত্ত হচ্ছি। নিত্যনতুন কারখানা তৈরি হচ্ছে, নতুন কারখানায় উৎপাদিত হচ্ছে নতুন পণ্য। কারখানা চালানোর জন্য প্রয়োজন হচ্ছে বিদ্যুত, গ্যাস বা জ্বালানি তেলের। যত বেশি আমরা জ্বালানি খরচ করছি তত বেশি আমরা পোড়াচ্ছি ভূপৃষ্ঠের ও-জোন স্তর। কল-কারখানার ধোঁয়া, গাড়ির ধোঁয়া, রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাসপোড়ানো ধোঁয়া, পৃথিবীর যত স্থানে তেল-গ্যাস পুড়ছে সকল ধোঁয়া মিশে যাচ্ছে এ গ্রহের বাতাসে। এই ধোঁয়া কার্বন ডাই অক্সাইডে ভরা। বাতাসের সঙ্গে বেশি করে মিশে যাচ্ছে এই কার্বন ডাই অকসাইড। ফলে দিন দিন বাতাস উত্তপ্ত হচ্ছে, পৃথিবীর সব দেশের আবহাওয়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে উষ্ণতা। গরমের মৌসুমে প্রচ- গরম পড়ছে, শীতের মৌসুমে কমে যাচ্ছে শীতের তীব্রতা। জলবায়ুর এমন উষ্ণতার ফলে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে শত সহস্র বছর ধরে জমে থাকা বরফ গত কয়েক বছর ধরে গলতে শুরু করেছে। সহস্র কোটি টন বরফের পাহাড় প্রতিদিন ভেঙে পড়ছে সেখানে। বরফগলা সেই জল এসে মিশে যাচ্ছে আটলান্টিক মহাসাগরে। ফলে দুই দিক থেকে উঁচু হয়ে উঠছে সাগর।

আমাদের প্রতিদিনের বর্জ্যগুলো কোথায় যাচ্ছে? এই যে একটা শহর থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টন মানববর্জ্য পানির সঙ্গে মিশে স্যুয়ারেজ ড্রেনে বয়ে যাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে এগুলো? প্রথমে যায় নদীতে, নদী থেকে ভাসতে ভাসতে সাগরে। তাতে কী হচ্ছে? সব বর্জ্য পচনশীল নয়। যেমন পলিথিন, প্লাস্টিক, অপচনশীল ধাতু। এগুলো গিয়ে সাগরের তলদেশে জমা হচ্ছে। ১০ বছর, ২০ বছর এমনকি ৫০ বছরেও এসব পদার্থ না পচে সাগরের তলদেশে পড়ে থাকছে। ফলে ধীরে ধীরে ফুলে উঠছে সাগরের তলদেশ। আমাদের বঙ্গোপসাগরের কথাই ধরা যাক। প্রতিদিন আমরা যে বর্জ্য সাগরে ফেলছি তার কারণে প্রতিদিনই সাগরের তলদেশ একটু একটু করে উঁচু হচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে সাগর এভাবে ভরাটের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অনেকগুলো জেলা সাগরের জলের নিচে তলিয়ে যাবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, আমাদের বর্জ্যরে ফলে এভাবে ভরাট হয়ে যাবে সাগরের তীরবর্তী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অনেক অঞ্চল।

ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, চিলি, কলম্বিয়া, পেরু এমন আরও কয়েকটি দেশজুড়ে বিস্তৃত পৃথিবীর সবচে বড় বনাঞ্চল অ্যামাজন। এই তো মাসখানেক আগে মানুষের লাগানো আগুনে পুড়ে গেল অ্যামাজন বনের অনেকাংশ। পৃথিবীর কত বড় ক্ষতি হয়ে গেল সেটা পৃথিবীবাসী ধারণাও করতে পারছে না। অ্যামাজন বনকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। আমাদের শরীরের ফুসফুস যেমন বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে কার্বন নিঃসরণ করে, তেমনি পৃথিবীর গাছপালাও আমাদের পোড়ানো কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে আমাদের জন্য অক্সিজেনের যোগান দেয়। এই অ্যামাজন বন পৃথিবীর নিঃসরিত ২৫% কার্বন শোষণ করতো। কিন্তু ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা এবং এসব অঞ্চলের লোভী মানুষেরা কাঠের জন্য, গবাদিপশু চরানোর জন্য, ভূমিদস্যুতার জন্য প্রতিদিন উজাড় করে দিচ্ছে এই বনাঞ্চল। প্রতিদিন হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলছে স্বার্থলোভী একদল মানুষ। তারাই বৃহদাকারে ভূমি দখলের জন্য আগুন দিয়েছিল এই বনে। লাখ লাখ শুধু নয়, কোটি কোটি গাছ পুড়ে গেছে মানুষরূপী জানোয়ারদের আগুনে। সেই আগুনে পুড়েছে বনে থাকা অসংখ্য পশু ও পাখি।

শুধু অ্যামাজন কেন, আমাদের দেশেও প্রতিদিন শত শত একর জমির গাছ কেটে নতুন নতুন কল-কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে। একটা কারখানা তৈরি হচ্ছে মানে সেখান থেকে প্রতিদিন আরও তেল-গ্যাস পোড়া ধোঁয়া উড়ছে, কার্বন নিঃসরণ হয়ে মিশে যাচ্ছে আমাদের পৃথিবীর বাতাসে। সে বাতাসে আরও উষ্ণ হবে জলবায়ু। উষ্ণতার কারণে গলে পড়বে এন্টার্টিকার হিমবাহ। আফ্রিকার মরু অঞ্চল আরও শুষ্ক হবে। অনাবৃষ্টির কারণে ফসল উৎপাদন কমে গিয়ে দেখা দেবে দুর্ভিক্ষ। ক্ষুধায় মারা পড়বে লাখ লাখ বনি আদম।

এই ভয়াবহ অশনি ভবিষ্যত রোধ করার ক্ষমতা মানুষ আগেই হয়তো হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু এখনও সবটুকু সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। ধেয়ে আসা ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মানুষের হাতে এখনও রয়ে গেছে তুরুপের তাস। খুব সাধারণ কিন্তু প্রয়োজনীয় বন্ধুগাছ। আমাদের সভ্যতা যত উন্নত হচ্ছে, গাছের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব ততই বেড়ে যাচ্ছে। চারদিকে কেবল দালানকোঠা, থরে থরে সাজানো ইট আর পাথরের জগদ্দল। তার মাঝে কোথাও বৃক্ষের দেখা নেই। যত ইট বাড়ছে, যত দালান বাড়ছে, যত সভ্যতা উঁচুয় উঠছে তত আমরা বৃক্ষহীন হয়ে পড়ছি। অথচ এই বৃক্ষই আমাদের ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে প্রবল প্রতাপে। পৃথিবী থেকে কার্বন শোষণ করতে একমাত্র বৃক্ষই সবচে বেশি কার্যকর।
বৃক্ষের চেয়ে নিঃস্বার্থ বন্ধু এ মুহূর্তে আর নেই। এ কারণে যত বেশি সম্ভব গাছ লাগাতে হবে। অধিক সংখ্যায় গাছ বড় করতে হবে। গাছের পরিচর্যা করতে হবে। একটা গাছ কাটলে তিনটা গাছ রোপন করতে হবে।

পৃথিবীতে কার্বন নিঃসরণ সবচে বেশি করে উন্নত দেশগুলো। আমেরিকা, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলো অধিক হারে কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী। কিন্তু কার্বনের কারণে সবচে বেশি ক্ষতি হচ্ছে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর। বিশেষত দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোর। এ কারণে আমাদের ক্ষতি আমাদেরই পুষিয়ে নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বিষয়ে জোরালো আওয়াজ তুলতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং নিজে সচেতন হতে হবে।

আল্লাহর যে অশেষ নেয়ামত আমরা ভোগ করছি, সেটা রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের। আমরা শুধু মাখলুক থেকে গ্রহণই করবো কিন্তু মাখলুক যখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে তখন তা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের নয়এমন অবিবেচক এবং অকৃতজ্ঞ বান্দাকে আল্লাহ কখনোই পছন্দ করবেন না।


মাসিক নবধ্বনির সৌজন্যে