কিশোর-তরুণদের জন্য একটা জরুরি বিষয় নিয়ে আলাপ করি।

ইংরেজিতে একটা কথা আছে: If you are smartest in your class, then you are in the wrong class. ‘তুমি যদি তোমার ক্লাসের সবচে মেধাবী ছাত্র হও, তাহলে মনে করবে তুমি ভুল ক্লাসে আছো।’

কথাটা মেধাবী ছাত্রদের একটু বেখাপ্পা লাগলেও, কথার গভীরতাটা বুঝতে হবে। তুমি যদি তোমার ক্লাসের সবচে মেধাবী ছাত্র হও, তার মানে এই না যে তুমি আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে থাকবে। তোমাকে তোমার চেয়ে আরও মেধাবীদের ক্লাসে যেতে হবে। সেখানে হয়তো তুমি অন্যদের চেয়ে কম মেধাবী প্রমাণিত হবে, কিন্তু তুমি তোমার চেয়ে মেধাবীদের কাছ থেকে শিখতে পারবে এবং আরও পরিশ্রম করার অনুপ্রেরণা পাবে।

তুমি যদি তোমার ক্লাসের সেরা হও আর সবাই তোমার চেয়ে কম মেধাবী, তাহলে তুমি শিখবে কার থেকে? তুমি কম্পিটিশন করবে কার সঙ্গে? এ জন্য তোমাকে এমন সার্কেলে যেতে হবে যেখানে তোমার চেয়েও অঢেল মেধাবীদের বিচরণ। প্রয়োজনে তোমার সার্কেল পরিবর্তন করো, তোমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করো। নিজের মেধা/যোগ্যতা নিয়ে কখনো আত্মতৃপ্তি বোধ করো না।

সবসময় তোমার চেয়ে মেধাবীদের সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করবে। এতে ইগো হার্ট হওয়ার কিছু নেই। আত্মসম্মানের দোহাই দিয়ে নিজেকে গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ রাখার দ্বারা তুমি নিজের যোগ্যতাকে অপমান করছো।

তুমি যদি তোমার শহরের সবচে সফল ব্যবসায়ী/উদ্যোক্তা হও তবে অন্য শহরে বা অন্য দেশে তোমার চেয়ে সফল ব্যবসায়ী যে, তার সঙ্গে ব্যবসা শুরু করো।

তুমি যদি তোমার ঘরানার সবচে সফল লেখক হও তাহলে এই ভেবে আত্মতৃপ্তিতে ভুগো না যে ‘আমিই সেরা’। বরং এর মানে হচ্ছে, তুমি একটা ভুল ঘরানার মধ্যে আটকে আছো। তোমার উচিত আরও সফল যারা তাদের ঘরানায় গিয়ে কাজ করা।

নিজের মেধাকে কখনো ছোট করে দেখো না। নিজেকে সম্মান দিতে শেখো। নিজেকে যদি তুমি সম্মান না দাও তবে অন্যেরা তোমাকে কীভাবে সম্মান দেবে?