একবার এক জিন-কবিরাজ (ইমাম সাব) বললেন, ‘আপনের ওপর জ্বিনের আছর আছে। যে জ্বিন আছর করছে, সে ‘গায়লান’ প্রজাতির জ্বিন। মারাত্মক খারাপ প্রজাতি!’

আমার যেহেতু জ্বিনের নৃতাত্ত্বিক জাতিসত্তা নিয়ে তেমন কোনো জ্ঞান নাই, কোনটা গায়লান প্রজাতি আর কোনটা জয়নাল প্রজাতির জ্বিন, সে ব্যাপারে ন্যূনতম ধারণাও নাই, তাই বললাম, ‘এ জ্বিন ছাড়ানোর তরিকা কী?’

হুজুর আমাকে নানাবিধ তাবিজ, পানিপড়া ও জড়িবুটি দাওয়াইয়ের মশোয়ারা দিলেন। হুজুরের মশোয়ারা শুনে বললাম, ‘দেখি তাইলে, সুযোগমতো দাওয়াই নিয়া যাবনে।’

আমি আর হুজুরের হুজরামুখী হয় নাই। মাঝেসাঝে হুজুরের সঙ্গে বাজারের ভীড়ে দেখা হয়ে যায়। আমি হুজুরের নজর থেকে চুরি চুরি থাকি, হুজুরও আমার থেকে চুপকে চুপকে থাকেন।

চুরি চুরি চুপকে চুপকের ঘটনা বছরে এক-আধবার ঘটে। ফলতঃ জ্বিন গয়লানের নৃতাত্ত্বিক জাতিসত্তা আমি প্রায় ভুলতে বসেছিলাম। আজ অকস্মাৎ দেখি ‘গায়লান’ ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছে। কলজেটা আচমকা যেন ধড়াক করে উঠল।

হুজুরের হুজরায় গিয়ে একবার তাবিজ, পানিপড়া ও জড়িবুটি দাওয়াই নিয়ে আসব নাকি?

 


Leave a Reply

Your email address will not be published.