ভবিষ্যতের কথা ভাবি। ভাবি, আজ থেকে ত্রিশ-চল্লিশ বছর পর আমাদের পৃথিবীটা কেমন হবে। তখন আমাদের নতুন প্রজন্ম কেমন হবে? তারা কি আধুনিকতা আর প্রযুক্তিসর্বস্ব পৃথিবীর গোলকধাঁধার মায়ায় হারিয়ে যাবে? ভুলে যাবে নিজেদের শেকড় আর ‘গোল্ডেন অরিজিন’?

তাদের কথা এখনই ভাবি। সে ভাবনা থেকেই আজকের শিশুদের জন্য লিখতে শুরু করেছি। তাদেরকে জানিয়ে যেতে চাই আমাদের ‘গোল্ডেন অরিজিন’-এর গল্প, আমাদের সুপারহিরোদের গল্প। কারা নিকষ বিনিদ্র রজনী কাটিয়ে আমাদের জন্য নিয়ে এসেছিল আলো ঝলমলে সুপ্রভাত, কারা অন্যায় আর জুলুমের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে উচ্চারণ করেছিল সত্যভাষণ; বলে যেতে চাই তাদের নাম ও পরিচয়।
আজ যদি সেই সব বীর ও সুফি-দরবেশের পরিচয় না বলে যেতে পারি, যারা আমাদের বুকের মধ্যে ঈমানের হীরকচূর্ণ ছড়িয়ে দিয়েছিল, তবে সে দায় আমাকে পোড়াবে। তাই সে হীরকচূর্ণ ছড়িয়ে দিয়ে যাই আগামী প্রজন্মের নরোম বুকে। যাতে যুগের শত আধুনিকতা আর প্রযুক্তির ঝা চকচকে ভবিষ্যতেও তাদের বুকের মধ্যে আলো হয়ে জ্বলতে থাকে ঈমানের আলোকবিভা। আর একবার যার হৃদয়ে জ্বলে উঠবে ঈমানের রৌশনি, সে শত ঝড়ের রাত্রি শেষেও পথ হারাবে না।
তাই, আলো জ্বেলে যাই। ‘ছোটদের দরবেশ সিরিজ’ এমন ভাবনা থেকেই লেখা।

এর আগে ‘ছোটদের সাহাবি সিরিজ’ প্রকাশ হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতে আমাদের সুপারহিরোদের নিয়ে আরও লিখব। ইতোমধ্যে লিখতে শুরু করেছি ‘আমাদের দরবেশ সিরিজ’। যে বইগুলোতে তুলে আনতে চেষ্টা করছি সেই সব দরবেশদের জীবনের গল্প, যারা এই বাংলা অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করে আমাদের ঋণী করে গেছেন। তাদের কথা জানাতে চাই ভবিষ্যতের দরবেশদের। তাদের হাতেই একদিন জ্বলে উঠবে এ দেশ ও বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবার আশর্য প্রদীপ।