লেখালেখির এই স্বল্পদৈর্ঘ্য সময়ে নানাজন নানা সময় আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন, ‘আপনার উচিত ইসলামি ঘরানার বাইরে গিয়ে মূলধারার প্রকাশনী থেকে বই প্রকাশ করা। এতে আপনার নাম-যশ যেমন বাড়বে, তেমনি নতুন পাঠকের কাছেও পৌঁছতে পারবেন।’

আমি গর্ব করেই তাদের পরামর্শে পানি ঢেলে দিয়ে বলতাম, ‘আমি ইসলামি সাহিত্যকেই বাংলাদেশের মূলধারা বানাব, এই ইসলামী টাওয়ারকেই বানাব বাংলা প্রকাশনা জগতের পাওয়ারহাউজ।’

আমার দাবির সত্যতা কতটুকু, সাত বছর পর এসে পাঠকমাত্রই তা অনুধাবন করতে পারবেন। খোঁজ নিয়ে দেখেন সাদাত হোসাইন, জাফর ইকবাল, ইমদাদুল হক মিলনের বই কত কপি বিক্রি হয় আর আরিফ আজাদের বই কত কপি বিক্রি হয়; বাংলাদেশের তাবত কবিদের কবিতার বই কত কপি বিক্রি হয় আর মুহিব খানের আল-কুরআনে কাব্যানুবাদ কত কপি বিক্রি হয়; কত কপি বিক্রি হয় বেস্টসেলার উপন্যাস আর কত কপি বিক্রি হয় ‘প্রিয়তমা’।

ইসলামি বইয়ের বিপ্লব দেখে কথিত মূলধারার বড় বড় অনেক প্রকাশনী ইসলামি বই প্রকাশের জন্য নতুন নতুন সাব-প্রকাশনী খুলছে, নতুন নতুন ইসলাম ধর্মীয় বই প্রকাশে তোড়জোর শুরু করেছে। বাংলাদেশের লেখককুল এবং পুরো প্রকাশনী পাড়া এখন জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে ইসলামি বইয়ের বিশাল বাজার দেখে। আমার সেই ভবিষ্যদ্বাণী এত তাড়াতাড়ি সত্যে পরিণত হবে, এটা আমি নিজেও ভাবিনি।

সুতরাং ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ইসলামি সাহিত্যই এ দেশের সাহিত্যের মূলধারা হবে ইনশাআল্লাহ!

নবীজির সিরাত নিয়ে বাংলাভাষায় যে অভিনব নানা আঙ্গিকে কাজ করা সম্ভব, ‘প্রিয়তমা’ ও ‘৩১৩’ লিখে আমি তা প্রমাণ করেছি। পাঠক আমার সে সিরাত-প্রেম ও শ্রমকে ভালোবেসে গ্রহণ করেছেন। বাংলাভাষায় ইসলামি মৌলিক সাহিত্যে এ দুটো গ্রন্থকে তারা অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

‘৩১৩’ ছিল নবীজীবনের প্রথম যুদ্ধ—বদর যুদ্ধের গল্পভাষ্য, সেই ধারাবাহিকতায় প্রকাশ হচ্ছে উহুদ যুদ্ধের মর্মস্পর্শী গল্পভাষ্য ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’। আশা করি, আগামী সপ্তাহে বইটি ছাপায় উঠবে। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় সিক্ত হোক নবীজীবনের অবশ্যপাঠ্য এই শ্রমসাধ্য বইটি।

হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল…