আজ থেকে ১,৩৯৫ বছর ৭ মাস ২০ দিন আগে বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল ইসলামের প্রথম ধর্মযুদ্ধ। সে যুদ্ধের একটি ঘটনা শোনাই আপনাদের।

যুদ্ধের সময় সাহাবি জুবায়ের ইবনে আওয়াম রাদিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন রাসুল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের নিরাপত্তার অতন্দ্র প্রহরী। বেহেশতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশ সৌভাগ্যবানের একজন তিনি। সম্পর্কে রাসুলের ফুফাতো ভাই, ইসলাম গ্রহণ করেছেন নবুওয়াতের একেবারে শুরুর দিকে। রাসুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক এতটাই দৃঢ় যে রাসুল প্রায়ই বলতেন, জুবায়ের আমার ছায়াসঙ্গী। বদর যুদ্ধে রাসুলকে রক্ষা করতে সীসাঢালা প্রাচীরের মতো শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছিলেন তিনি।

কুরাইশবাহিনীর উবায়দা ইবনে সাঈদ ময়দানে এসেছে আপাদমস্তক বর্মাচ্ছাদিত হয়ে। পুরো শরীর লোহার বর্ম দিয়ে ঢাকা, এমনকি মাথার শিরস্ত্রানে ঢেকে রেখেছে নাক-মুখ সব। শুধু তার চোখ দুটো দেখা যাচ্ছে দূর থেকে। তরবারী বা বর্শার আঘাতে কেউ তাকে কিছুই করতে পারছিল না।

উবায়দা জুবায়েরকে দেখে হুংকার ছেড়ে বলল, ‘আমি আবু জাতুল কুরশ! যদি সাহস থাকে তাহলে আমার মোকাবেলা করতে আসো।’

উবায়দার হুংকার শুনে জুবায়ের নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারলেন না। নিজের বর্শা তুলে লক্ষ্যস্থির করলেন উবায়দার ঠিক চোখ বরাবর। নিশানায় ভুল হলো না। জুবায়েরের ছোড়া বর্শা সরাসরি গিয়ে আঘাত করল উবায়দার চোখে। এত জোরে তিনি বর্শা চালিয়েছিলেন যে বর্শার ফলা চোখ ভেদ করে মাথার অপর পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে তড়পাতে তড়পাতে মৃত্যু হয় উবায়দার।

তার লাশের উপর বসে অতি কষ্টে বর্শাটি বের আনেন জুবায়ের। বর্শা এত গভীরভাবে বিদ্ধ হয়েছিল, টেনে বের করার সময় সেটির ফলা বাঁকা হয়ে যায়। স্বয়ং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বর্শাটি জুবায়েরের কাছ থেকে চেয়ে নিজের কাছে রেখে দেন।

ঘটনা এখানেই শেষ করলাম। এবার ঘটনার দিকে আরেকবার লক্ষ করুন। দেখুন, ঘটনার বর্ণনা কত নিখুঁতভাবে বর্ণিত হয়েছেকুরাইশযোদ্ধা উবায়দার বর্ম ও শিরস্ত্রানের বর্ণনা, জুবায়েরের বর্শার নিশানা, বর্শায় গাঁথা উবায়দার চোখ, তার মৃত্যু এবং আঘাতের ফলে বর্শার ফলা বাঁকা হয়ে যাওয়া। প্রতিটি বর্ণনা হাদিস এবং সিরাতগ্রন্থে নিপুণভাবে বর্ণিত হয়েছে।

শুধু এ ঘটনাই নয়, ইসলামের প্রতিটি যুদ্ধে কার অস্ত্রের আঘাতে কে আহত বা নিহত হয়েছে, শরীরের কোন স্থানে আঘাত করা হয়েছে, আঘাতের গভীরতা ও পরিমাপ কতটুকু ছিলএসব কিছু আমরা হাদিস বা সিরাত পড়তে গেলে বিস্তারিতভাবে পড়তে পারি। কীভাবে এটা সম্ভব হলো?

শিক্ষা। সেই তখন থেকে ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব এতটাই ছিল যে, প্রত্যেকটা যুদ্ধের ঘটনা সাহাবিরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে স্মরণ রাখতেন এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তা বর্ণনা করতেন। সাহাবিদের স্মৃতিশক্তির তারিফ না করে উপায় নেই। বিশেষত যেসব সাহাবি হাদিস বর্ণনা করেছেন, যেমন আবু হুরায়রা, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, ইবনে উমর, ইবনে মাসউদ, আবু সাঈদ খুদরি, আয়েশা, আনাস ইবনে মালিক, জাবের ইবনে আবদুল্লাহ, আমর ইবনে আস রাদিয়াল্লাহু আনহুম এবং অন্যান্য সাহাবিগণ নবুওয়াতের বিশেষ বিশেষ সকল ঘটনা তারা নিজ অন্তকরণে গচ্ছিত রাখতেন। যেসব ঘটনার সাক্ষী তারা ছিলেন না, সেসব ঘটনা তারা সেইসব সাহাবিদের কাছ থেকে শুনে মুখস্ত করে নিতেন যারা সেসব ঘটনার চাক্ষুস সাক্ষী ছিলেন। এমনকি তারা অনেক ঘটনা স্বয়ং রাসুলের কাছ থেকে জেনে নিতেন।

এর বড় উদাহরণ ছিলেন সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবি আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি ইসলাম গ্রহণ করে মদিনায় আসেন সপ্তম হিজরিতে। কিন্তু তিনি যেসব হাদিস বর্ণনা করেছেন সেগুলোর অনেক ঘটনা তার ইসলাম গ্রহণের আগে সংঘটিত হয়েছে। যেমন বদর যুদ্ধের কথাই ধরা যাক। এ যুদ্ধ সংক্রান্ত অনেক হাদিস তিনি বর্ণনা করেছেন। কীভাবে? হয়তো রাসুলের কাছে শুনেছেন নয়তো অন্য সাহাবিদের কাছে শুনেছেন।

কী কারণে আবু হুরায়রাসহ অন্য সাহাবিরা এগুলো মুখস্ত করতে গেলেন? কারণ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং তাদের এসব বিষয় জানা এবং শিক্ষা করার কথা বারবার তাগিদ দিয়েছেন। শুধু ঘটনা নয়, ইসলামের প্রতিটি বিধান তারা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে নির্ভুলভাবে পৌঁছে দিয়েছেন। রাসুলের প্রণোদনায় এই ধারাবর্ণনা উম্মতের জন্য এক অনন্য মাইলফলক হয়ে রয়েছে।

আরও আশ্চর্যজনক বিষয় লক্ষ করুন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস আজ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকাশ করা যায়নি। কত বছর আগের ঘটনা এটা? মাত্র পঞ্চশ বছর আগের ঘটনা। অথচ এখনও আসল ও নকল মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে হররোজ আমাদের পেরেশান হতে হয়। কে মুক্তিযোদ্ধা আর কে নয়সেটা আজ পর্যন্ত নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।

কিন্তু বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা মুসলিম মুজাহিদদের সংখ্যা বলুন তো কত? ৩১৩ জন। এ তথ্য অধিকাংশ মুসলিমই জানে। প্রায় চৌদ্দ শ বছর আগে সংঘটিত একটা যুদ্ধে কতজন যোদ্ধা অংশগ্রহণ করেছিল, তাদের নাম, তাদের গোত্রের নাম, তাদের বয়স, সেই যুদ্ধে আরোহণ করা উট ও ঘোড়ার সংখ্যা, যুদ্ধে উভয় দলের নিহতের সংখ্যা, কুরাইশবাহিনীর বন্দী হওয়া যোদ্ধাদের নাম ও গোত্রের নামএমন সকল কিছু ইসলামের ইতিহাসে লেখা রয়েছে।

রাসুল নিজে নিরক্ষর ছিলেন, লিখতে পড়তে জানতেন না। কিন্তু সাহাবিদের শিক্ষার জন্য তিনি যেন আধুনিক যুগের মায়েদের মতো ছিলেন, যারা বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য হাতে সবসময় একটা বই নিয়ে ঘুরে বেড়ান। রাসুলের অবস্থাও ঠিক এমন ছিল। যেখানে সামান্য লেখাপড়ার সুযোগ হতো সেখানেই তিনি সাহাবিদের জন্য শিক্ষার দ্বার খুলে দিতেন।

বদরের যুদ্ধের পরবর্তী দৃশ্যের দিকে লক্ষ করুন। এ যুদ্ধে কুরাইশদের ৭০ জন যোদ্ধা বন্দী হয়। সকলের সঙ্গে পরামর্শ করে রাসুল সিদ্ধান্ত নেন, এ বন্দীদের মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হবে। এক হাজার দিরহাম থেকে চার হাজার দিরহাম পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয় বন্দীদের মুক্তিপণের হার। যারা অবস্থাসম্পন্ন ছিল তাদের জন্য চার হাজার, আর যারা খানিকটা কম সম্পন্ন ছিল তাদের জন্য তিন, দুই বা এক হাজারে মুক্তির শর্ত নির্ধারণ করা হয়।

কিন্তু যেসব কুরাইশ বন্দী একেবারেই কপর্দকশূন্য গরিব ছিল, তাদের ব্যাপারে কী করা হবে? তারা তো অর্থ দিতে পারবে না। রাসুল শিক্ষার এই সুযোগও হাতছাড়া করলেন না। তিনি জানালেন, যারা মুক্তিপণের অর্থ দিতে পারবে না, তারা প্রত্যেকজন মদিনার দশজন করে বাচ্চাকে আরবি পড়া ও লেখা শেখাবে। যখন এসব বাচ্চা পড়তে ও লিখতে শিখে যাবে তখন তাদের মুক্তি দেয়া হবে।

রাসুল কেন শিক্ষার প্রতি এত গুরুত্ব দিয়েছিলেন? বস্তুত তিনি ভবিষ্যত মদিনাকে একটি শিক্ষিত ও সংগঠিত কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। মুসলিমদের তিনি এমন একটি জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন যারা আজকের ইতিহাস যেমন লিখতে পারবে, তেমনি লিখতে পারবে ভবিষ্যত পৃথিবীর ইতিহাসও।

রাসুল মদিনায় আগমনের পরই লক্ষ করেছিলেন, মদিনার ইহুদিরা ধন-সম্পদের প্রাচুর্যে বসবাস করছে। মদিনার নেতৃত্ব আউস-খাজরাজ গোত্রের হাতে থাকলেও সকল সিদ্ধান্তের জন্য ইহুদিদের ধর্না ধরে বসে থাকতে হতো। কারণ আউস-খাজরাজের লোকেরা তাদের কাছে দেনার দায়ে আবদ্ধ ছিল। সবচে বড় কথা, ইহুদিদের সকলেই ছিল শিক্ষিত। ঐশীগ্রন্থ তাওরাতের নির্দেশনায় তাদের সবাই শিক্ষাগ্রহণ করতো এবং মদিনায় তাদের একটি স্বতন্ত্র বিদ্যায়তনও ছিল। যেখানে ইহুদি প-িতরা শিক্ষা দিত তাদের সম্প্রদায়ের বাচ্চাদের। জ্ঞানে ও ধনে ইহুদিরা সবসময় বড়াই করতো মদিনাবাসীর ওপর। নেতৃত্বের মসনদ আউস-খাজরাজের দখলে থাকলেও শিক্ষা ও জ্ঞানের কারণে তারা তাদের গোনায় ধরতো না। এ বিষয়টি রাসুলের মনে গভীরভাবে রেখাপাত করে।

শিক্ষার জন্য রাসুলের এমন বেচাইনির আরেকটি উদাহরণ দেই। মদিনার জায়িদ ইবনে সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলের ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। অথচ জায়িদের বয়স তখন বারো-তেরো বছর। ভাবা যায়! এই বয়সী একটা ছেলে কীভাবে রাসুলের সহকারী হলেন? ঘটনা হলো, মেধাবী জায়িদ রাসুল মদিনায় আসার আগেই মক্কা থেকে আগত ধর্মীয় শিক্ষক মুসআব ইবনে উমায়েরের কাছে কুরআনের অনেকখানি হেফজ করে নিয়েছিলেন। রাসুল যখন মদিনায় আগমন করেন তখন তাকে ডাকা হয় রাসুলের সামনে। তিনি যখন তার হেফজ করা কুরআন রাসুলকে শোনান তখন রাসুল আশ্চর্য হয়ে যান এবং তাকে সত্বর লেখাপড়া শেখানোর ব্যবস্থা করেন। অল্পদিনেই জায়িদ আরবি লিখতে ও পড়তে শিখে যান। এরপর রাসুলের কাছে যেসব চিঠি আসতো, জায়িদ সেগুলো রাসুলকে পড়ে শোনাতেন, আবার কাউকে চিঠি লিখতে হলেও জায়িদ লিখে দিতেন।

কিছুদিন পর আরবের বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে রাসুলের কাছে চিঠি আসা শুরু হয়। এসব চিঠি সাধারণত হিব্রু বা ল্যাটিন (ইবরানি ও সুরিয়ানি) ভাষায় লেখা হতো। মদিনার মুসলিমদের মধ্যে কেউ এ ভাষা লিখতে পড়তে জানতো না। অগত্যা রাসুলকে মদিনার ইহুদিদের শরণাপন্ন হতে হয়। তারা এসে রাসুলের চিঠি পড়ে দিতো এবং সেগুলোর উত্তর লিখে দিতো। কারণ মদিনার ইহুদি প-িতরাই কেবল এ দুটো ভাষার দখল রাখতো।

কিন্তু রাসুল মদিনার ইহুদিদের মোটেও বিশ্বাস করতেন না। একে তো তারা ছিল ধূর্ত প্রকৃতির, দ্বিতীয়ত মুসলিমদের সঙ্গে তাদের একটা আদর্শিক যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল রাসুল মদিনায় আগমনের পরপরই। যে কোনোভাবে তারা মুসলিমদের হেয় ও পরাজিত করার ইচ্ছা পোষণ করতো। এ কারণে আগত চিঠির মধ্যে কী লেখা আছে আর তারা কী পড়ছে, সে বিষয়ে রাসুলের সন্দেহ রয়েই যেতো। আবার চিঠি পাঠানোর সময় রাসুল যা বলছেন তারা তা ঠিকমতো অনুলিপি করছে কি-না, সেটাও সন্দেহাতীত নয়।

এ সমস্যা নিরসনে রাসুল একদিন জায়িদকে ডেকে বললেন, তুমি হিব্রু ভাষাটা শিখে ফেলো। বিদ্যোৎসাহী জায়িদ ইহুদি পণ্ডিতদের পাঠশালায় গিয়ে মাত্র পনেরো দিনে হিব্রু ভাষা লিখতে ও পড়তে শিখে ফেলেন। এর কিছুদিন পর রাসুলের নির্দেশে জায়িদ ল্যাটিন ভাষায়ও ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। এরপর এ দু’ভাষায় চিঠি এলে তা পড়তে আর ইহুদি প-িতদের কাছে যেতে হতো না, জায়িদ নিজেই চিঠি পড়ে রাসুলকে শোনাতেন এবং উত্তর লিখে দিতেন।

বর্তমান মুসলিমদের অধঃপতনের সবচে দুঃখজনক কারণশিক্ষায় অবহেলা। আমরা সামান্য পড়ছি ঠিক, কিন্তু সেটাকে কর্মে পরিণত করছি না। আমরা ধর্ম সম্পর্কে জানছি ঠিক, কিন্তু সেটা বাস্তবায়নের সদিচ্ছা আমাদের নেই। বাস্তবভিত্তিক পড়াশোনার প্রতি আমাদের আগ্রহ নেই বললেই চলে। আমাদের পাঠাগারগুলো খলি পড়ে থাকে, আমাদের ছাত্রাবাসগুলোতে উদ্ভাবনী কোনো শিক্ষা উপকরণ নেই, নতুন চিন্তা ও নতুন দিকদর্শনের ব্যাপারে আমাদের ভাবার সময় নেই, পৃথিবীকে কীভাবে নেতৃত্ব দিতে হবে তার কোনো প্রস্তুতি নেই। অথচ আমরা বক্তৃতা দেয়ার সময় বিশ্বজয়ের ভাষণ ছাড়ি। না, আল্লাহর রাসুল এবং তার সাহাবিরা কখনো বড় গলায় ভাষণ দিয়ে বাগাড়ম্বর করতেন না।

রাসুলের সিরাত এবং সাহাবিদের জীবনী আমাদের সবচে বড় সম্পদ। পৃথিবী যত আধুনিক হোক, উন্নতির যত শিখরে উঠুক সভ্যতা; রাসুলের সিরাত এবং সাহাবিদের জীবনী চিরকাল মুসলিমদের দিশা দিয়ে যাবে। এই দুই সম্পদকে সঠিকভাবে পাঠ করতে হবে, জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং এই পাঠ সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে হবে। বর্তমান মুসলিম জাগরণের জন্য এছাড়া আমাদের আর কোনো দাওয়াই নেই।

আল্লাহর রাসুল বলে গেছেন‘আমার সাহাবিরা আকাশের নক্ষত্রের মতো, যে তাদের অনুসরণ করবে, সঠিক পথের দিশা পাবে কেবল তারাই।’


মাসিক নবধ্বনির সৌজন্যে