আমার প্রথম উপন্যাস লেখার কারণ ছিল, এটা আমার নিজেরই খুব পড়তে ইচ্ছে করছিল।

—টনি মরিসন (আমেরিকান নভেলিস্ট)

এই বিষয়টা আমাকেও পেয়ে বসেছে। ‘অবিনশ্বর’ নামে আমি একটা উপন্যাস লেখা শুরু করেছি তা-ও প্রায় চার বছর আগে। মোটের ওপর ৫০ পৃষ্ঠার মতো লেখা হয়েছে। সুযোগ হলে ওটুকুই বার বার পড়ি। ছয় মাস বা এক বছর পর পাঁচ-ছয় পৃষ্ঠা করে লিখি। এর বেশি আর এগোয় না। ইচ্ছে করেই লিখি না। নানা কারণে। কিন্তু আমি যতবার ওই ৫০ পৃষ্ঠার এখানে সেখানে নজর বুলাই, নিজেই অভিভূত হই। নিজেকে নিজে পিঠ চাপড়ে দিয়ে বলি, ‘করছো কী তুমি জাহাঙ্গীর! তুমি তো এক্বেবারে কান্দায়া ফালাইছো!’
এই উপন্যাসের যে সকল চরিত্র, তারা সবাই আমার মস্তিষ্কে নিজ নিজ জায়গায় বসে অপেক্ষা করছে। সবাই প্রস্তুত নিজেদের গল্পগুলো এগিয়ে নেওয়ার জন্য। আমিও তাদের কার কী দায়িত্ব হবে অপেক্ষমাণ উপন্যাসে, সেগুলো ঠিক করে রেখেছি। কিন্তু তবু এই উপন্যাসটি লেখা হচ্ছে না। এই চরিত্রদের যে বায়নাক্কা, তাতে রচিতব্য বইটি ৪০০ থেকে ৫০০ পৃষ্ঠার ব্যাপ্তি নেবে। এর কমে তাদের বায়নাক্কা সামলাতে পারব বলে মনে হয় না। একবার যদি মনের সকল দ্বিধা কাটিয়ে বসতে পারি, এক মাসে সকল চরিত্রকে অক্ষরের আকাশে মুক্ত করে দেয়ার আশা রাখি।

মূলত যা বলছিলাম, এই উপন্যাসটি পড়ার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।


Leave a Reply

Your email address will not be published.